নজরুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন ,নজরুল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বিকাশে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন । তিনি এভূখন্ডে সাম্যবাদ ও অসমাম্প্রদায়িকতা ঝান্ডা তুলে ধরেছিলেন। বাংলা ও ভারতবর্ষের মানুষকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিছিলেন । তিনিই প্রথম উচ্চারন করেছেন জয় বাংলা ধ্বনী । এই জয় বাংলার ধ্বনী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রক্ষ্ম অস্ত্র হিসাবে কাজ করেছে ।
আজ শুক্রবার গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে গুলশান সোসাইটি ও বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা দুইদিন ব্যাপি নজরুল উৎসবের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এ খালিদ ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গুলশান সোসাইটির সভাপতি এটিএম শামসুল হুদা, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ জমির উদ্দিন, কবি নাতনি খিল খিল কাজী। ইন্ডিয়া গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মৃন্ময় চক্রবর্ত্তী । স্মারক বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমী মহাপরিচালক মোঃ নুরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এম এ খালিদ বলেন , ছোটবেলা থেকে প্রতিকূল পরিবেশে নজরুল বড় হয়েছেন।তিনি রবীন্দ্র ঠাকুরের মত সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাননি । অল্প সময়ে তিনি বাংলা সাহিত্য অনন্য ভুমিকা রেখে গিয়েছেন। তিনি বাংলার হিন্দু- মুসলমান উভয়কে একত্রিত একে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলা একাডেমী মহাপরিচালক মোঃ নুরুল হুদা বলেন , নজরুলই প্রথম জয় বাংলার ধ্বনী উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি ভারতবর্ষ ও বাঙ্গালীকে বৃটিশ শাসন থেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু অনুপ্রেরিত হয়েছেন নজরুলের সাম্যবাদী গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িত চেতনায় । নিতাজী সুভাষ বসু নজরুলকে বাঙ্গালীর জাতীয় কবি বলে অখ্যায়িত করেছিলেন । একারণেই বঙ্গবন্ধু নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা দেন । কবি নাতনী খিলখিল কাজী নজরুলের সাহিত্য বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের দাবী তুলেন ।
আলোচনা সভার পরে দুই বাংলার প্রখ্যাত নজরুল সঙ্গীত শিল্পীরা মনোমুগ্ধ সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আগামীকাল বিকালে নজরুল উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করবেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, গুলশান সোসাইটির মহাসচীব ব্যারিষ্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শিখর দে । আজও দুই বাংলার শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।