টেকনাফ প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা তরুণ সাংবাদিক মেম্বার জামালের, হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি।
মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
টেকনাফ উপজেলা দ্বিতীয় শহর হ্নীলা প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক জামাল মেম্বারের বাড়িতে গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আবেদন জানিয়ে টেকনাফে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের এক মানববন্ধন টেকনাফ প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি ও টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা যায়যায়দিন ও টেকনাফ ৭১প্রতিনিধি আরফাত৷ সানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন টেকনাফ প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ( বিএমইউজে) এর টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি এস এন কায়সার জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আকাশ,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক অধিকারের টেকনাফ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, ও জাতীয় দৈনিক ইংরেজি দ্যা ডেইলি পোস্ট ও দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর হাকিম আনোয়ার। এতে টেকনাফে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠন, প্রিন্টও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন সাংবাদিকেরা সমাজের নানা অসংলগ্ন বিষয় গুলো তাদের ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরেন, এই তুলে ধরাটাই তাদের কাল, এসমস্ত দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তারাই একেরপর এক সাংবাদিকদের উপর হামলা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ ই ডিসেম্বর সকাল ১১ টার দিকে রংগীখালী ও উলুচামরী এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাফর আলম, আনোয়ারুল ইসলাম প্রকাশ লেড়াইয়া ডাকাত, সিফাত, মিজান,নাসির, রেজাউল, মিজান ও ইলিয়াস সহ আরো অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের স্বশস্ত্র পাহাড়ী অপহরণ চক্রের সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রকাশ্য দিবালোকে (কক্সবাজার টেকনাফ) মহা সড়কে মেইন রোডের সামনে অপর একটি জনবহুল গ্রামে এসে সাবেক মেম্বারও সংবাদ কর্মী জামাল উদ্দিনের বাড়িতে অতর্কিত গুলি বর্ষন,ভাংচুরও লুট পাট চালায়। এটি একটি পরিকল্পিত ন্যক্কারজনক ঘটনা।
এঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় মামলা এন্ট্রি হলেও সন্ত্রাসীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসন সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানায়। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। এই সন্ত্রাস গুলো কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে আরো বৃদ্ধির হার বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বক্তারা